জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিপূরণের অর্থ পাওয়ার আশা দেখছেন না বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা। তারা বলছেন এক বিলিয়ন ডলারও দিতেও রাজি নয় উন্নত বিশ্ব। অথচ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবেলায় বছরে দরকার আড়াই বিলিয়ন। ক্ষতিপূরণের বদলে সবাই সবুজ শিল্পে বিনিয়োগের জন্য ঋণ দিতে চায়।
আজারবাইজানের বাকুতে গত ১১ নভেম্বর থেকে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৯) চলছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান পরিণতি মোকাবেলায় উন্নয়নশীল দেশগুলো কতটা সমর্থন পাবে, তা নিয়ে জাতিসংঘের এ বছরের জলবায়ু সম্মেলনে আগের চেয়েও বেশি আলোচনা চলছে।
জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে বহুমুখী ক্ষতির মুখে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। জলাবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় প্রায় সাড়ে চার বিলিয়ন অর্থ বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে উন্নত দেশগুলোর বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও দাতা সংস্থা। সবুজ শিল্প গড়তে এই অর্থ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে তারা। তবে এই অর্থ নিতে হলে গুণতে হবে ঋণ আর কিছু শর্ত। পাঁচ দিনে এডাপটেশন, মিটিগেশন, ক্ষয়ক্ষতি, প্রযুক্তির ব্যবহারসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে অর্থ আসবে কীভাবে সেটি কেউ বলছেন না। ক্ষতিপূরণের বিষয়ে এবারও একমত নাও হতে পারে দেশগুলো।
দেশগুলো বলছে, তারা বেসরকারি বিনিয়োগ পেতে হিমশিম খাচ্ছে। কারণ, এ ধরনের বিনিয়োগ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে এসব দেশের গণমানুষের জন্য জাতিসংঘ তহবিলই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দেশগুলোর মানুষেরা বেশিরভাগই যুদ্ধ এবং প্রাকৃতিক নানা দুর্যোগে পড়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা বলছেন এবারও কোন প্রাপ্তির আশা ছাড়াই শেষ হচ্ছে সম্মেলন। সম্মেলনের চতুর্থ দিনে মূলত জলবায়ু অর্থায়নের বিষয়টি আলোচনায় প্রাধান্য পেয়েছে। বিশ্বে সংঘাত পীড়িত এবং জলবায়ুর পরিবর্তনে ক্ষতির মুখে থাকা এক ঝাঁক দেশ এবারের সম্মেলনে দ্বিগুণ আর্থিক সাহায্য দাবি করেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো বলছে, অনেকটা সময় পার হয়ে গেছে। প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী ১ বিলিয়ন নয় বছরে দিতে হবে ২ বিলিয়নের বেশি। বিশ্বে সংঘাত পীড়িত এবং জলবায়ুর পরিবর্তনে ক্ষতির মুখে থাকা এক ঝাঁক দেশ এবারের সম্মেলনে দ্বিগুণ আর্থিক সাহায্য দাবি করেছে।
বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা বলছেন, বরাবরের মতো ধীর গতিতে চলছে দেন দরবার। দেশগুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা এবং নিরাপত্তা সংকটের মুখে থাকা তাদের জনগণের জন্য বছরে দুই হাজার কোটিরও বেশি ডলার সাহায্য দেওয়ার জন্য তাগাদা দিচ্ছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Voice Protidin Desk